সমস্থিতির প্রমাণ / Evidences of Isostasy


সমস্থিতি মতবাদের মূল বক্তব্য হলো ভূ-ত্বকের অংশগুলি ভূ-অভ্যন্তরের অ্যাস্থিনস্ফিয়ার স্তরের উপর ভাসমান অবস্থায় থেকে পরস্পরের মধ্যে সমতা রক্ষা করে। ভূত্বকের কোন অংশ ক্ষয়প্রাপ্ত হলে চাপ কমে যায় ফলে সমস্থিতির ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য ওই অংশটি কিছুটা উপরে উঠে যায়। অন্যদিকে ক্ষয়প্রাপ্ত পদার্থ গুলি যে স্থানে জমা হয় সেখানে চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সমস্থিতির ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য ওই অংশটি কিছুটা নিচের দিকে বসে যায়।

সমস্থিতির প্রমাণসমূহ: 

বর্তমান পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে সমস্থিতির কিছু প্রমাণ লক্ষ্য করা যায়। যেমন,- 

১. প্লিস্টোসিন বা প্লাইস্টোসিন হিমযুগে স্ক্যাণ্ডিনেভিয়ার দেশ যেমন- নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ডের ওপর প্রচুর বরফ জমা হয়েছিল। হিমযুগের পরবর্তী সময়ে এই বরফ অল্প অল্প করে গলতে শুরু করে। ফলে স্ক্যাণ্ডিনেভিয়ার ভূভাগ ধীরে ধীরে উঠতে শুরু করেছে। প্রতি 100 বছরে 1.07 মিটার হারে ভূভাগ উপরে ওঠে। বিগত 14286 বছরে প্রায় 250 মিটার উপরে উঠেছে।

২. গ্রিনল্যান্ডের উপর জমে থাকা বরফের চাপে গ্রিনল্যান্ডের কেন্দ্রীয় অংশ সমুদ্রের জলতলের নিচে বসে গেছে। 

৩. গঙ্গার বদ্বীপ অঞ্চলে ক্রমাগত পলি সঞ্চয় হওয়ার ফলে এই অঞ্চল ক্রমশ নিচে বসে যাচ্ছে।

৪. ইতালির পো নদী অববাহিকা ক্রমাগত পলি সঞ্চয়ের ফলে ক্রমশ নিচের দিকে বসে যাচ্ছে। 

৫. সমস্থিতির ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য সুইডেনের দক্ষিণ দিক ক্রমশ নিমজ্জিত হচ্ছে অন্যদিকে স্টকহোমের উত্তরের ভূমি উপরে উঠে যাচ্ছে।

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url