অভিকর্ষ বিচ্যুতি ( Gravity Anomaly )
কোন স্থানের বা অক্ষাংশের প্রকৃত অভিকর্ষ এবং তাত্ত্বিক অভিকর্ষের পার্থক্যকে বা বিয়োগফলকে অভিকর্ষ বিচ্যুতি বলে। অভিকর্ষ বিচ্যুতির মান ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক উভয়ই হতে পারে। বিয়োগফল ধনাত্মক ফলে অভিকর্ষ বিচ্যুতি ঋণাত্মক হয় এবং বিয়োগফল ঋণাত্মক হলে অভিকর্ষ বিচ্যুতি ধনাত্মক হয়।
অভিকর্ষ বিচ্যুতির সূত্র:
অভিকর্ষ বিচ্যুতি = (g-y) [ যেখানে, g = প্রকৃত অভিকর্ষ বা সমীক্ষিত অভিকর্ষ; y = তাত্ত্বিক অভিকর্ষ।]
অভিকর্ষ বিচ্যুতির কারণ:
১. ভূ-পৃষ্ঠের শিলার সমস্থিতিক ভারসাম্য না থাকলে অভিকর্ষ বিচ্যুতির সৃষ্টি হয়।
২. কোন শিলা স্বাভাবিকের থেকে বেশি ভারী বা হালকা হলে অভিকর্ষ বিচ্যুতি দেখা যায়।
অভিকর্ষ বিচ্যুতির প্রকারভেদ:
অভিকর্ষ বিচ্যুতি তিন প্রকারের হয়। যথা,-
১. A বিচ্যুতি:
অভিকর্ষ বিচ্যুতির মানকে যদি উচ্চতার প্রভাব বাদ দিয়ে সংশোধন করে নেওয়া হয় তাকে A বিচ্যুতি বা মুক্ত বায়ুতে নির্ণয় করা অভিকর্ষ বিচ্যুতি বলে।
২. B বিচ্যুতি:
সামগ্রিক অভিকর্ষ বিচ্যুতি থেকে সমুদ্র তলদেশ থেকে কোন স্থানের উচ্চতা এবং যন্ত্রের উচ্চতা জনিত অভিকর্ষ বিচ্যুতি বাদ দিলে যে মান পাওয়া যায় তাকে বোগার অভিকর্ষ বিচ্যুতি বা B বিচ্যুতি বলে।
৩. C বিচ্যুতি:
শিলার ঘনত্বের পার্থক্যের ভিত্তিতে যখন অভিকর্ষ বিচ্যুতি সংশোধন করা হয় তখন তাকে C বিচ্যুতি বা আইসোস্ট্যাটিক বিচ্যুতি বলে।